বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
সুজন মহিনুল,বিশেষ প্রতিনিধি: সাত মাস বয়সী একটি কন্যা শিশু ও তার মা আলেফ নুরা (৩০)নামের এক মানুষিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার(১২ আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের চিলাহাটিতে এ ঘটনাটি ঘটে।
আলেফ নুরা ওই এলাকার ঈসমাইল হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সকালে শিশু ইসরাত জাহান পায়খানা করলে, মা আলেফ নুরা পরিস্কার করার জন্য ঘর হতে বের হয়। বেশ কিছু সময় আলেফ নুরা ফিরে না আসায়, তাকে বাড়ির লোকজন খুঁজতে থাকে। সকাল নয় টার দিকে এক নারী পুকুড়ে এক নারী ও এক শিশুর ভাসমান দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। এতে এলাকার লোকজন ছুটে এসে পুকুড় হতে তাদের উপড়ে তুলে দেখে দুই জনেরই মৃত্যু হয়েছে। আলেফ নুরার স্বামী তাদের পরিচয় সনাক্ত করে। সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়েছে।
আলেফ নুরার স্বামী ঈসমাইল হোসেন জানান, গত তিন মাস হতে আলেফ নুরা মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে রয়েছে। রংপুর পপুলার মেডিকেলে তার চিকিৎসা করানো হচ্ছে।ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নীলফামারীতে করোনা আক্রান্ত আরো ২ জন সহ মোট ১১ জনের মুত্যু।
সুজন মহিনুল,বিশেষ প্রতিনিধি: নীলফামারীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১জনে।নতুন করে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, শহরের মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক গোলাম মাওলা সাদিক ওরফে সাবু (৫২) ও শহরের পাঁচমাথা এলাকার নজরুল ইসলাম(৭০)।
গোলাম মাওলা সাদিক ওরফে সাবু আজ বুধবার(১২ আগস্ট)সকাল সাতটার দিকে রংপুর করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চিলাহাটি বাজারে। তিনি জেলা শহরের জুম্মাপাড়ায় বসবাস করতেন। গত ৪ আগষ্ট শ্বাসকষ্ট নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫ আগষ্ট পরীক্ষায় তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়লে রংপুর করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অপরদিকে গত ৯ আগাষ্ট করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান নজরুল ইসলাম। তিনি গত ৮ আগস্ট করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান।পরেরদিন ১০ আগস্ট রাতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগার থেকে তার করোনা পজেটিভ প্রতিবেদন আসে।বুধবার(১২ আগষ্ট) সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জেলায় নতুন করে দুইজনের মৃত্যুর পর মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জনে। করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা ৭২২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৫৭ জন।এর আগে নীলফামারী জেলা সদরে এক নারীসহ তিন জন, জলঢাকা উপজেলায় এক নারীসহ দুইজন, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এক জন এবং সৈয়দপুর উপজেলায় তিন জন করোনাভা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।